বিস্তারিত
গবেষণা চুরির অভিযোগ: সামিয়া রহমানের মামলা তদন্ত করবে সিআইডি
আপডেট টাইম : 2 weeks ago

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান গবেষণা চুরির অভিযোগ করায় অভিযোগকারী অ্যালেক্স মার্টিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে ২০ মের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সামিয়া রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সামিয়া রহমানের অভিযোগ, মিথ্যা ও বানোয়াট ইমেইল আইডির ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির ভুয়া অভিযোগ করা হয়েছে। আসামি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছেন। তিনি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় গবেষণা জালিয়াতির দায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের পদাবনতি করে সহকারী অধ্যাপক করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের A new dimension of Colonialism and Pop Culture : A Case Study of the Cultural Imperialism নামক আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ সোশ্যাল সাইন্স রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়, যা ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত মিশেল ফুকোর Subject and Power প্রবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা।
২০১৭ সালে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ চুরির অভিযোগের কথা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পর থেকেই সামিয়া রহমান দাবি করে আসছেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সামিয়া রহমান বলেন, যে অভিযোগে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে, যার পরিচয় (শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্স মার্টিন পরিচয়ধারী) দিয়ে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস থেকে চিঠি এসেছে, সেই অ্যালেক্স মার্টিন বলে তো ওই জার্নালে কেউ নেই এবং তারা এ ধরনের চিঠি পাঠায়নি।
বিডি প্রভাত/জেইচ