নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুই ধর্ষকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রক্ষিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের তিন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বসতঘরের সামনে দাঁড়িয়ে সে ফোনে কথা বলছিল। এসময় স্থানীয় লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৬) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন (১৭) তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। আত্মরক্ষার্থে চিৎকার দিলেও পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়িতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ কেউ শুনতে পারেনি। ধর্ষণ শেষে তাকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে কোনোমতে বাড়ি পৌঁছায়।
এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পর বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এসময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই।
ছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালান। পরে তার বড় মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন জানান, সংঘবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকদের তিন আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে আগামীকাল (আজ শনিবার) সকালে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বিডি প্রভাত/আরএইচ